সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার আয়োজনে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নের ডলুছড়ি ব্লকের কুতুকছড়ি নিচুপাড়ায় গত ২০ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট অফিসার কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুধেন্দু শেখর মালাকার, ডিএই রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল, কৃষি তথ্য সার্ভিস রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার উপজেলা কৃষিঅফিসার কৃষিবিদ আপ্রু মার্মা।
স্বাগত বক্তব্যে কৃষিবিদ আপ্রু মার্মা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় লেবুজাতীয় ফসলের আবাদের সম্ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন এই উপজেলায় লেবুজাতীয় ফলের বিশেষ করে মাল্টার বানিজ্যিক বাগান স্থাপনের জন্য প্রচুর উপযুক্ত পাহাড় থাকায় কৃষকদের বাগান স্থাপনে বিভিন্ন সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে লেবু বাগান প্রদর্শণী কৃষক মেঘনাদ চাকমা তাঁর অভিজ্ঞতা ও সফলতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে লেবুজাতীয় ফলের চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিচর্যা, বালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থিত কৃষকদের সম্যক ধারনা দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ গতানুগতিক কৃষিকাজ থেকে বেরিয়ে এসে সম্ভাবনাময় নতুন নতুন ফসল চাষে কৃষকদের আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন দেশের মোট আয়তনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে পার্বত্য এলাকা। এই অঞ্চলে মাঠ ফসল চাষে উপযুক্ত জমির স্বল্পতা থাকায় বহুবর্ষজীবি ফলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করা ছাড়া ফসলের নিবিড়তা বাড়ানোর আর কোন বিকল্প নেই। তিনি লেবু জাতীয় ফলের পুষ্টি গুনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রদর্শণী কৃষক মেঘনাদ চাকমার মত অন্যদেরও এগিয়ে আসার তাগিদ দেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম সমূহ তুলে ধরেন ও প্রদর্শণী বাস্তবায়নের নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারনা দেন। তিনি বলেন লেবুজাতীয় ফলের ৪০শতক আয়তনের এক একটি ব্লক প্রদর্শনীতে মাল্টার ৬০টি, কমলার ১০টি, বাতাবী লেবুর ১০টি এবং জারা লেবুর ২০টি করে উন্নত জাতের চারা কলম এবং পর্যাপ্ত সার সরবরাহ করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ফসল বিধায় মাঠ কর্মীদের পরামর্শ মত সকল পরিচর্যা সম্পাদনের জন্য তিনি উপস্থিত কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। মাঠ দিবসে প্রায় শতাধিক স্থানীয় কৃষক কৃষানী ও গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।